সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ ভিডিও এবং চটকদার বিজ্ঞাপন অনাকাঙ্ক্ষিত-জামশেদ আলী
আধুনিক এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও তথ্য প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে যা অনস্বীকার্য। গোটা বিশ্বের সাথে তথ্য সেবায় যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সুনাম অর্জনের দাবিদার বাংলাদেশ।
স্বাগত জানাই সেই সকল সফল উদ্যোক্তাদের যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উন্নত তথ্য সেবা সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে যা আইনেরও সহায়ক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাধুবাদ জানাই সেই সকল দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিদের যারা এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সামাজিক তথা জনকল্যাণে যোগাযোগ রক্ষা করে তথ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়োজনসত্বে চোখ রাখলেই অনেক সময় ধরা পড়ে নানান কুরুচিপূর্ণ ফানি ভিডিওসহ নেতিবাচক ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও যা শিক্ষার্থী, বিনোদন প্রেমী, শিশু-কিশোরসহ বিশেষ করে তরুন-তরুনীদের উপর কুপ্রভাব পড়ছে। কিছু অসাধু বাণিজ্যমনা ব্যক্তিরা তাদের বানিজ্যের লক্ষ্যে চটকদার বিজ্ঞাপনের ন্যায় কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করে সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিচ্ছে। এতে সামাজিক কুপ্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় আজকাল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাকে নিয়েও অশ্লিল ভিডিও তৈরি করতে দ্বিধা বোধ করেননি কতিপয় এই অসাধু ব্যক্তিগন।
তাই জনসচেতনতার মূলক দিক বিবেচনায় এই সকল কতিপয় কুরুচিপূর্ণ ভিডিও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মারা এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন অতি জরুরী বলে মনে করেছেন গুনিজন।
অনেক সময় বিভ্রান্তিকর ও অস্বস্তিকর পরিবেশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় অনেকে অভিভাবকেও যা কাঙ্ক্ষিত নয়। আজকাল অনেকে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণা থেকে শুরু করে আয়ের উৎস হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন যা ইতিবাচক। তবে খেয়াল রাখা জরুরি তা যেন সমাজ ও জাতীর জন্য অকল্যাণ বয়ে না আনেন। সমাজ এবং জাতির মঙ্গলার্থেই হোক সকল শিক্ষনীয় এবং বিনোদনমূলক প্রচার প্রচারণা, তথ্য নির্ভর সঠিক বিজ্ঞাপন। হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি দেশও জাতির জন্য ক্ষতিকারক দিক বর্জিত রেখে জনকল্যাণ বিবেচনাই হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় এই দাবি মঙ্গলকামী সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.