সাংবাদিকরা কারো বন্ধু না!
কি আশ্চর্য হচ্ছেন?এ কথাটি পড়ে হইতো মনে মনে আমাকে গালাগালি দিচ্ছেন,বাস্তবিক অর্থে কথাটি সত্য।আপনি যদি কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখেন তাহলে একটা পক্ষ খুশি হবে আবার আরেকটা পক্ষ শত্রু হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঠিক নিউজ করতে গিয়ে অনেকের শত্রুতার শিকার হয়ে যাচ্ছেন।
✍সাংবাদিকতা একটি মহৎ ও চ্যালেঞ্জিং পেশা।সাংবাদিকতায় অনেকের চেয়ে খুব কম সময়ই আমার।অনেকে হয়তো দীর্ঘ বছর যাবৎ লিখে যাচ্ছেন। আমি লিখছি লিখে যাবো কিন্তু কোথায় যেন বাঁধা পরে আছি! রাষ্ট্র সমাজ পরিজন সকলের অন্যায় কি লিখতে পারি বা পারছি ? এই মহান পেশাকে আমরাই নষ্ট করছি ব্যক্তি তোষণ আর চাটুকারিতায়! কারও কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করলে তার অন্যায় লেখা যায় না কারন এটা বিশ্বাসঘাতকতা পর্যায়ে পরে। অতএব কারও অর্থ হাত থেকে ধরেছেন বা সুবিধা নিয়েছেন তো নিজের আদর্শ বিক্রি হয়ে গেলো। আপনি তখন দালাল সাংবাদিক পিছনে সবাই বলে! সরকারী দলের কেউ অন্যায় দুর্নীতি করলে, তার কথা লিখলে,সে বলে বা প্রমাণ করতে চায় ঐ সাংবাদিক সরকার বিরোধী আমার সম্মান নষ্ট করতে চায়, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত! আবার বিরোধী দলের কেউ অন্যায় করলে তা লিখলে বলে ঐ সাংবাদিক সরকারের দালাল! তারা কেউ ভাবেননা যে, অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিয়ে বরং দলের ক্ষতি ও দেশের ক্ষতি করছেন। আমরা চাই একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশ যার স্বপ্ন দেখেছিলেন ৭১ এর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আজকাল কিছু কিছু সিনিয়র সাংবাদিকদের আচার আচরণ কেমন জানি জুনিয়র সাংবাদিকদের স্নেহ করতে চান না আবার জুনিয়র সাংবাদিক সিনিয়রদের সম্মান করতে চান না। সাংবাদিকদের অনেকেই সত্যের পথ দেখতে পারছেন না। দুর্নীতিবাজদের সাথে দহরমমহরম এটা এ পেশায় জড়িতদের মানায় না। আবার এ পেশার কেউ কেউ নিজেকে আইনের উর্ধ্বে মনে করেন। সাংবাদিকদের হতে হবে সৎ আদর্শবান। সঠিক সত্য হোক সাংবাদিকদের চিন্তা ও চেতনা। সাংবাদিকদের কলম চলুক সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
সেই শুভকামনায়:-
আশরাফুল আলম
দৈনিক আমাদের কণ্ঠ
স্টাফ রিপোর্টার,
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সাধারন সম্পাদক
ভৈরব অনলাইন নিউজ ক্লাব
শাপলা টিভি,নির্বাহী সম্পাদক
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন সোসাইটি,কেন্দ্রীয় কমিটির
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক