আবারো ছিনতাই, নিরবতা কতদিন
আর দেখতে চাইনা রক্তাক্ত আঘাত!
চা স্টল গুলোতে অপরাধীদের দিন ও রাতের আড্ডা হয়। রাস্তা ঘাটে দিব্যি ঘুরাফেরা করা চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের চিনেও না চেনার ভান করতে হয় আমাদেরকে।
কারণ ওরা এখন ভয়ংকর, ভয়ংকর বললে ভুল হবে মারাত্মক ভয়ংকর। যারা নিজেরা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করেন, তাদের কাছে ছিনতাইয়ের ঘটনা গুলো স্বপ্ন মনে হতে পারে। আর যারা সাধারণ মানুষ ঘটনার একটু কাছাকাছি থাকেন, দেখেছেন ও শুনেছেন তাদের কাছে ছিনতাই ও ছিনতাইকারী শব্দটা একটা আতংক ও বোমার মতন।
আর যারা ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের কাছে মৃত্যুতুল্য। কেউ মরে, ভাগ্যক্রমে কেউ বাঁচে, কেউ কিছু হারায় আবার কেউ সবই হারায়।
তবে কেউই নিরাপদ নয়, যারা ঘরে থাকেন আবার কেউ রাস্তায়। সারা বছর হয়ত ঘর থেকে বেরই হননা, দীর্ঘদিন পর হয়ত একটু বেরিয়েছেন প্রিয় ভৈরবটাকে দেখতে, নদীর পাড়, রেলওয়ে স্টেশন কিংবা বাসস্ট্যান্ডে, সকাল কিংবা রাতে, ভোরে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে ২৪ ঘন্টার যেকোন মূহুর্তে। হতে পারে একা কিংবা সাথে দুই একজনকে সাথে নিয়ে। যেভাবেই রাস্তায় বের হন, আপনি এই শহরে নিরাপদ নন।
দিন কিংবা রাতের নিদিষ্ট সময়ে নয়, প্রতিনিয়তই ঘটছে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা। কেউ মারা গেলে ও বেশি আহত হলে হয়ত সেই ঘটনা গুলো জানতে পারে সবাই, কিন্তু যারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে আহত কম হন, কেউ আহত না হয়েও সর্বস্ব হারিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ না সেরেই বাড়ি ফিরতে হয় তাদের ঘটনা গুলো আড়ালেই থেকে যায়। কিন্তু থেমে নেই ছিনতাইয়ের ঘটনা গুলো। প্রতিনিয়তই খবর আসছে ছিনতাইয়ের কখনো বাসস্ট্যান্ড, কখনো রেলস্টেশন, কখনো নদীর পাড়, কখনো ভৈরব বাজার, কলেজ মোড়, নিউ টাউন, ঘোরাকান্দা, কবরস্থানে মোড়, পলাশের মোড়, নাটাল মোড়, চন্ডিবের কবরস্থান। কোথায় নেই ওরা, আছে ভৈরবের আনাচে-কানাচে, ভাবছেন ওরা লুকিয়ে আছে, না লুকিয়ে নেই প্রকাশ্যে ওরা ঘুরছে সাধারণ মানুষের মাঝেই। শুধু সময়ে সময়ে স্থান পরিবর্তন করছে। যাইহোক আর কিছু বলতে চাইনা, শুধু ঐক্য চাই জনগণ ও প্রশাসনের। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়তে হবে প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায়। নয়ত নিস্তার পাবেনা, নিস্তব্ধ করে দিতে পারে ওরা আপনাকে, আপনার পরিবার আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধবসহ প্রিয়জনকে।
তাই নিজেকে ভাবি নিরাপদ রাখতে ছিনতাই মুক্ত ভৈরব গড়তে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ জনতার ঐক্যতা খুবই জরুরি!
একমাত্র জনগণকে সম্পৃক্ত করে পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানেই আসতে পারে কাংখিত ফলাফল।
ছিনতাইকারী যেই হোক, পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনকে চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের প্রতিদিনের অবস্থান জানান এবং তাদের সাথে সম্পৃক্ত মুখোশধারী গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচন করুন নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে।
এভাবে চলতে থাকলে আজ আমি, কাল আপনার পালা।
সময় থাকতে সাবধান হোন, সচেতন হোন, অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে ভৈরবকে সুন্দর করুন।
কালেক্ট:
সাংবাদিক এম.আর রুবেল
দৈনিক নয়া শতাব্দী,ভৈরব প্রতিনিধি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.