অনলাইন ডেস্ক:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝর্ণা বেগম (২৪)কে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম নয়নকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৮ অক্টোবর সোমবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
চলতি বছরে ৩০মে মাসে নারী বাদী হয়ে ভৈরব থানায় এ ব্যাপারে রফিকুলকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ঘটনা প্রমাণিত হওয়াই গত ৩০ আগস্ট মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।
২০ অক্টোবর বুধবার ঝর্ণা বেগম (২৪) প্রতিবেদককে বলেন রফিকুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে বার বার ধর্ষণ করে,এতে আমি গর্ভবতী হয়ে যায়। পরে আমার পেটের বাচ্চা ঔষুধ দিয়ে নষ্ট করে ফেলে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করে টাকা দিয়ে ঘটনা আপোষ-মীমাংসা করতে চাইছে। আমি টাকা চাই না, সে আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে। এ কারণে আমি মামলা করেছি। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই। তিনি ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
ওই নারীর মামলার এজাহারে জানা যায়,উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ভৈরবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে চার মাস বসবাস করেন তারা। নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেন ওই কর্মকর্তা।
পরে গর্ভবতী হলে বিয়ের জন্য চাপ দেয় ওই নারী। কিন্তু তাকে বিয়ে না করে তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে রফিকুল এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। উপায়ন্তর না দেখে নারী ভৈরব থানায় মামলা করেন। এই মামলায় রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ৫ মাস পলাতক থাকার পর সোমবার আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.