বাবা তোমার কথা আজ খুব মনে পড়ে, তুমি ছিলে দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা জমা রাখার স্থান, জটিল কাজের সহজ সমাধান।
বিপদ এলেই তোমার স্মৃতি মনে পড়ে, তুমি ছিলে বিপদের সময়ে সাহসের আশ্রয় স্থান।
সন্তানের মুখে হাসি ফুটাতে ঝড়িয়েছো শরীর থেকে কত ঘাম।
রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সন্তানকে সুখী করতে গিয়ে নিজের সুখ করছো বিসর্জন।
সন্তানের মুখে হাসি দেখলে তুমি হেসেছো, সন্তানের কষ্টে তুমি কেঁদেছো।
কষ্টে গোমড়ে মরলেও সন্তান কষ্ট পাবে বলে তা বুঝতে দেওনি কোনদিন।
সন্তানের সফলতায় আনন্দের হাঁসি হেসেছো, ব্যার্থতায় দিয়েছো শান্তনা, দুঃসময়ের মহা ঔষধ।
সন্তানের চাওয়া পূরণ করতে ছিলে সদা ব্যাকুল।
শৈশব, কৈশোর আর যৌবনের অসাধ্য চাওয়ায় দিতে শান্তনা।
শৈশবে তুমি সেজেছো খেলার সাথী, কৈশরে পাঠক, যৌবনে বন্ধু, বার্ধক্যে তোমাকে সাজতে হয়েছে করুনার পাত্র।
মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তেও তুমি সন্তানের কথা ভেবেছো, অপলক মায়ায় তাকিয়ে চোখের জল ঝড়িয়েছো।
আজ তুমি নেই, চারপাশে আছে তোমার স্মৃতি, ভাবতেই চোখে আসে জল।
বাবা তোমার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, এমন করে একদিন আমাকেও তোমার পথেই চলতে হবে।
তোমার স্মৃতি মনে করতেই হৃদয়ে ঝড়ে আজ শ্রাবনের বারিধারা নয়নে নেমে আসে জল।
বাবা তোমায় খুব মনে পড়ে, সুখে থেকো সব ছেড়ে ছোট্র মাটির ঘরে, সুখে থেকো পরপারে।