অনলাইন ডেস্ক:

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি শোকের সাথে পালন করা হয়।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন মহলে ব্যানার ফিস্টুন বানানো হয়,তেমনি একজন ব্যক্তি কিশোরগঞ্জ জেলা ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ ইউনিয়নে নৌকা মার্কা প্রত্যাশীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃলিটন মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিকে অপমাননা করে ব্যানার করে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ও বিভিন্ন পেইজে তার অনুমতিতে পোষ্ট করা হয়।বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন ছবি দেখে সর্বসাধারণ জনগনের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।এলাকার সর্বস্তর মহলে এর তীব্রনিন্দা জানিয়েছে।
এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,মোঃলিটন মিয়ার পিতা মরহুম হাজী মোঃকালু মিয়া ১৯৮৫ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত হয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে,১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে আবার বিএনপিতে যোগদান করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে পুনরায় আওয়ামীলীগে যোগ দেন।
মোঃলিটন মিয়া সুইজারল্যান্ড আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইং সালে বক্তৃতায় বলেছেন, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিয়ে অবমাননা সহ্য করা হবে না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই খেসারত দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ কালিকা প্রসাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ ইউপি সভাপতি মোঃফারুক মিয়া বলেন
বাংলাদেশ যখন সম্মানের সহিত মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সেই মুহূর্তে কিছু দূষ্কৃতিকারী নামধারী আওয়ামীলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা করে দেশকে কলুষিত করছে।তিনি বলেন কালিকা প্রসাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হিসেবে তীব্রনিন্দা জানাই।পাশাপাশি মোঃলিটন মিয়া নৌকা মার্কা প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সুইজারল্যান্ড আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার চাই এবং রাষ্ট্রিয়ভাবে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের দাবী করছি।

আইপি শাপলা টিভির প্রতিবেদক মোঃলিটন মিয়ার সাথে মুটোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমার এ ছবিটি ফেসবুকে একটি অফিসিয়াল ফরমুলার মাধ্যমে এমনটা হয়েছে।এটা আমার হামহেয়ালীর জন্য হয়েছে এ বিষয়টার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।