বিদ্যুতের লোডশেডিয়ে অতিষ্ঠ বৃদ্ধা পল্লি মা কয় “বাবুরা এক সময়ে গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলো না, বৈদ্যুতিক পাখাও ছিলো না, তখনকার স্বস্তি ছিলো নিজের মতো।
তালপাতার পাখা দিয়ে করেছি রাতভর বাতাস, প্রকৃতি ছিল শান্ত, দেহ ছিল সহনশীল।
যুগ বদলে দেশ আজ ডিজিটাল, গাঁয়ের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ নামের সেবা, সেবার নামে গোমড়ে মরে অভিযোগ, বাড়েছে গরীবের অস্বস্তি।
আজ প্রকৃতিও হয়েছে অশান্ত, বেড়েছে অস্বন্তি, আধুনিক দেহও কষ্ট সইতে অক্ষম।
অভিমানে কয়, ক্ষনিকের সুখের চেয়ে আগের দিনের দুঃখই ছিলো অনেক ভালো।
দেশে উপসর্গ যুক্ত নাম হয়েছে ডিজিটাল, উপকারী গাছপালা আর ঝোপঝাড় কাটায় অশান্ত প্রকৃতিও তাপদাহে আজ বেসামাল।
সুবিধাবাদীরা নিজের স্বার্থে প্রকৃতির উপর করেছে জুলুম, প্রকৃতি দিচ্ছে তার প্রতিদান।
বড় লোক নির্মল হাওয়া নিতে গড়ে অট্রলিকা, বিদ্যুৎ রাখে ঘরে জমা, এসিতে নেয় স্বস্তি।
গরীবের কুঠিরে ধনীদের অট্রলিকার ভিড়ে বাধাপ্রাপ্ত হয় যখন নির্মল হাওয়া, না পায় যখন প্রকৃতির পরিপূর্ণ বাতাস, গরীব তখন হাহাকারে রয়।
বড় লোক অর্থের বিনিময়ে চিনিয়ে নেয় তাদের স্বস্তি, গরীব অতিষ্ঠ গরমের যন্তনায় রাত-দিন ভোগ করে অস্বস্তি।
আফসোসে বৃদ্ধা পল্লি মা কয় হিসেব করে দেখা যায় চার-পাঁচ ঘন্টাও গাঁয়ে থাকে না বিদ্যুৎ, এ কেমন সেবা, এ কেমন ডিজিটাল।
দায়িত্বে থাকার কেউ কারো কথা শুনে না, বিদ্যুৎ ঘাটতির কথা বলে দেখায় নানান অজুহাত।
পরোক্ষকরে আজ, সব কিছুর ন্যায় দফায় দফায় বাড়ে বিল, এমন দৃশ্যে গরীবের মাথায় হাত।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং, হায়রে সাধের পল্লি মায়ের বিদ্যুৎ!
সত্য বললে হয় যদি সমালোচনা, হয় যদি প্রতিবাদ, তবে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা দেখেও কেন তা দেখে না, বুঝেও কেন বুঝে না!
এ কেমন সেবা তোমার পল্লি নামের বিদ্যুৎ!