জামশেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ধুলদিয়া ইউনিয়ন এবং দানাপাটুলি ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী মাতিয়া নামক হাওরে মৎস্য চাষীদের উদ্দীপনা প্রশংসার দাবিদার যদিও অত্র এলাকার দুফসলী আবাদি জমির ফসল উৎপাদন নষ্ট হচ্ছে তবে বিনিময়ে চাষীরা মাছ চাষে অধিক লাভবান বলে অধিকতর উৎসাহ দেখাচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় মূল রাস্তা ঘেঁষে কতিপয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিরা তাদের লাভের দিক বিবেচনা করে পথচারীদের চলার সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ভ্রমনকারী ও পথচারীদের জন্য এতোটা অস্বাস্থ্যকর যে, দীর্ঘ সময় নাক চেপে ধরে রাখা ছাড়া কোন বিকল্প উপায় নেই। বলা চলে মূল রাস্তার প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জায়গায় পর্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত আর মাঝে মাঝে রাস্তার দু’পাশে স্তূপ আকারে জমা করে রেখে দিয়েছে মাছের খাদ্য হিসাবে মুরগ-মুরগির দুর্গন্ধযুক্ত বিষ্টা। এই সকল বর্জে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।
এছাড়াও রাস্তার দু’পাশে গর্তের মধ্যে জমাটবাঁধা আছে দুর্গন্ধযুক্ত পানি।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই জনবহুল রাস্তা দিয়ে বিশেষ করে কটিয়াদীর থানার একাংশের জনগণ, নিকলী উপজেলার জনগণ এমনকি সময় বাঁচাতে বাজিতপুর, কুলিযারচর উপজেলার জনগনও মোটরসাইকেল এবং ছোট যান নিয়ে নিয়মিত চলাচল করে থাকে। এছাড়া কিশোরগঞ্জসহ ময়মনসিংহ ও আশপাশের জেলার জনগণও বিশেষ করে নিকলী উপজেলার পর্যটন এলাকায় যেতে এই রাস্তাটিই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন।
গতকাল সোমবার ৮ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৯,ঘটিকার সময় ব্যক্তিগত কাজে নিকলী হতে কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশা যুগে যাওয়ার সময় চলন্ত অবস্থায় পথিকদের মধ্যে হতে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয়ে এক ছাত্রকে ক্ষোভের ভাষায় বলতে শুনেছি “আমি এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের রাস্তাতে আসলে নাক চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই”
তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু দিন পূর্বে গনমাধ্যমে কর্মীদের দৃষ্টিগোচরে আসায় এবং ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার ভয়ে পরিবেশটা অল্প কিছু দিন বেশ ভালোই ছিল কিন্তু তারা আবারও অতীতের ন্যায় সিষ্টেম করে নিয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য যাত্রীগনকে বলতে শোনা যাচ্ছে প্রতিরোধ গ্রহনে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কেনইবা কোন ভূমিকা নিচ্ছে না এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের মূল কাজ কি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এছাড়া মোটর বাইক আরোহীসহ অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীসহ অসংখ্যা চালকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সময় বাঁচাতে বহু মানুষকে নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় এই রাস্তা দিয়েই চলাফেরা করতে হয়।
ভুক্তভোগী এই সকল জনগণ, ফিসারির প্রভাবশালী মালিকদের নিকটে খুব অসহায় মনে হয়। তাদের বিরুদ্ধে নালিশ দেওয়ার মতো ভরসার জায়গা খুঁজে পাইনি তাই নিরবে এই ভোগান্তি সহ্য নেয়।
এক সময়ে নিরাপত্তা হীনতার ভাবনায় এই স্থানে ভ্রাম্যমান একটি পুলিশ টহল কেন্দ্রও ছিল কিন্তু এখন আর টহলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের চোখে পড়ে না।
একজন অটোরিকশা চালক যাত্রীদের উদ্দেশ্যে আক্ষেপে বলেন, আপনারাতো প্রয়োজন না থাকলে আর আসবেনা না কিন্তু আমাদেরকে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আসা যাওয়া করতে হয়। আমাদের সমস্যা অনেক বেশি, ইচ্ছা থাকলেও এই দীর্ঘ সময় নাক চেপে ধরে রাখতে পারিনা, রোগবালাই সব কিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি!
পথিকরা আরো বলেন, এই রাস্তা অতিক্রম করা যেখানে অসহনীয় সেখানে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টি একবারেই ব্যতিক্রম।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের এই বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কেমিস্ট এর সাথে কথা বলার উদ্দেশ্যে ৯, ফেব্রুয়ারি ২০২০, খ্রিস্টাব্দে সকাল ১০টা, ১৭ মিনিটে একাধিকবার (০১৯১৮২৪৩২৬২) এই নাম্বারে ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদরের ১১নং দানাপাটুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ সাহেবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনচলাচলের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে দুর্গন্ধযুক্ত মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসাবে জমা রাখার কারনে জনগন ভোগান্তিতে আছেন এই সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অতীতের চেয়ারম্যানও যথাসাধ্য ভাবে অপহরণের চেষ্টা করে গেছেন, আমি নতুন আসছি আর আমিও প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অপসারনের দাবীতে এই বিষয় নিয়ে কথা বলছি, তবে প্রভাবশালী হওয়ায় কারনে একটু সময় লাগছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.